বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কমকর্তার হস্তক্ষেপে গুঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো কাশীপুর ইউনিয়নের লাকুটিয়া বাজার সংলগ্ন সারসী এলাকায় সরকারি শাখা খালের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে স্থাপন করা রিপন-আজাহারের নির্মাধীন ভবনটি। এবং কি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে লাল নিশানা দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে থমকে রয়েছে সারা দেশ। বরিশালেও চলছে লকডাউন। সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালত সবই বন্ধ থাকার সুযোগে ফের চলছে ভূমিদস্যু রিপন ও আজাহারের সরকারী জমি দখলের মিশন। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- রিপন হোসেন ও আজাহার বেপারী নামের দুইজন ব্যাক্তি সরকারী খাল দখল করে ক্ষমতার জোরে সরকারী জায়গায় ভবন নির্মান কাজ শুরু করেন। পরে বরিশালের স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হলে তা নজরে পড়েন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মনিবুর রহমানের। পরে তিনি তক্ষৎনিক ভাবে সদর উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সিরাজুল ইসলাম ও মোফাজ্জেল হোসেনকে পরিদর্শনে পাঠান। পরে তারা সরকারী কাগজ পত্র ও খালের ম্যাপ দেখে জমি মাপ দিলে দেখতে পান ৩০ ফুট খালের ২৩/ ১৩ ফুট জমি দখল করে রাতের আধারে রিপন হোসেন ও আজাহার বেপারী ভবন নির্মাণ করেছেন। পরে সরকারী দখলকৃত জমিতে কোন ধরনের কাজ চলবে না বলে সার্ভেয়ারা নৌটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। সার্ভেয়ারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই পূর্নরায় কাজ চালিয়ে যান রিপন হোসেন। পরে খবরটি শুনে ওই দিন বিকালেই তক্ষৎনিক ভাবে সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মুনিবুর রহমান ঘটনা স্থলে পরিদর্শনে দিয়ে দেখতে পায় ঠিক কাজ চলতে আছে। পরে তিনি সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে নির্মাধীন করা ভবনটি ভেঙ্গে দেয়। এবং কাজ বন্ধ করার নিদের্শ দিয়ে সেখানে একটি লাল নিশানা স্থাপন করা হয় কাজ বন্ধর জন্য। কিন্তু হঠাৎ আবারও মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশে লকডাউন শুরু হয়। এবং কি সরকারী সব প্রতিষ্টান বন্ধ থাকার সুযোগে ভূমিদস্যু রিপন ও আজাহার সরকারী আইন আমান্য করে ফের সরকারী জমি দখল করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ স্থাপনার কাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে করা নির্মাধীন ভবন ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রশাসনেকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলাম আমারা এলাকার মানুষ। বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি মালিকানার জমি দুস্থ অসহায় মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি কাজ করতে দেওয়া হয়। কারও ব্যক্তিগত কোন ভবন নির্মাণের অধিকার নেই। কোন ধরনের ভবন নির্মাণ হলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড বরাবর উচ্ছেদের জন্য রিপোর্ট দেওয়া হয়। সরকারি জমিতে কেউ ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। এটি বে-আইনি। যারা অবৈধ ভাবে সরকারী জমি দখল করে ভবন নির্মান করেছে সরেজমিনে গিয়ে তাদের নোটিশ করে উচ্ছেদ করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকাবাসী ও কৃষকরা অভিযোগ করেন জানান, স্থানীয় রিপন হোসেন ও আজাহার বেপারীর ভবন নির্মানের জন্য দখলকৃত সরকারী জমি হচ্ছে প্রবাহমান খাল। এতে খালের পানি প্রবাহ ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। কৃষকরা কোন ফসল উৎপাদন করতে পারবে না, নিঃস্ব হয়ে যাবে। তারা সরকারী জমি ও অন্যের জমি জোরকরে দখল অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালুর ব্যবসাসহ একাধিক অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে বলে এলাকাবাসী আভিযোগ করেন। এছাড়াও প্রশাসনকে কোনো না কোনভাবে ম্যানেজ করে ফেলে। তাদের কাজই হইছে সরকারি জমি খুঁজে খুঁজে বের করে সেগুলো দখলে করে বিলাসবহুল বাড়ী, দোকানপাট নির্মান করা। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার পানি নিস্কাশনের জমি দখল করে নির্মান করেছেন সোনালী বেকারীর বৃহৎ বর্ধিত অংশ। রিপন ও আজাহার মিলে ইতিপূর্বে বহুবার সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকম বহু অপরাধ করেছে। এদের ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে জীবন নাশের হুমদি দেয়। তারা কোটিপতি মানুষ। বড় ব্যবসায়ী। তাদের সব ভাইয়েরই বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা রয়েছে। এ বিষয়ে লাকুটিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সুমন মীর বলেন, আমি রিপনকে গিয়ে বলেছি এটা সরকারি জমি, এখানে ভবন নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু আমার কথা শুনেনি তারা। পরে প্রশাসন এসে তাদের অবৈধ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলেছে। এবং কি কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। এদিকে রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- অবৈধ ভবন ভেঙ্গে দেওয়ার পরও থেমে নেই তাদের ভবন নির্মানের কার্যক্রম। লক্ষ করা গেছে সরকারী খাল মাটি দিয়ে ভরাট করছে তারা। একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে, রিপন তিনি সরকারী জমি দখল করে বেকারী স্থাপনারও করেছে। এছাড়াও লাকুটিয়ার অধিকাশং সরকারী জমি তার দখলে রয়েছে। স্থানীয় কিন্তু সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই চলছে তার সরকারী জমি ও খাল দখলের কার্যক্রম। প্রশাসন অথবা সাংবাদিকরা আসলেই তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করে ফেলেন রিপন। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন হঠাৎ করে রিপন এতো টাকার মালিক হলো কি ভাবে। প্রশাসন ও দুদক সঠিক ভাবে তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে তার অবৈধ ব্যাবসার গোমর। এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মনিবুর রহমান বলেন, শত বছরের সরকারী খাল অবৈধ ভাবে দখল করে ভবন নির্মাণ করায় রিপনের অবৈধ ভবনটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং কি সেখানে একটি লাল নিশানা দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতেও বলা হয়েছে। সরকারী আইন আমান্য করে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিষয়টি জানালের তিনি বলেন, সরকারী আইন আমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’’
Leave a Reply